প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুন্নার ছেলের খোলা চিঠি

- আপডেট সময় : ০১:২১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা চলচ্চিত্রের চিত্রনায়ক-প্রযোজক মাহবুবুর রশিদ মুন্না। তার অভিনীত ও প্রযোজিত ‘ধূসর কুয়াশা’ ও ‘ভাগ্য’ নামের দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সামনেই নতুন সিনেমা নির্মাণ কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, মুন্নার ছেলে মোহাম্মদ জুলকারনাইন হিমন উর রশীদ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফেসবুকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। সেখানে দেশের সকল স্কুলে দৈনিক পাঠদানের সময়সীমা ৪ ঘণ্টার বেশি না রাখার জন্য বিনীত আবেদন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার লেখা খোলা চিঠি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হয়েছে। তিনি লিখেন, আমরা দেশের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীগণ, আপনার সদয় দৃষ্টির প্রতি আকর্ষণ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করতে চাই।
বর্তমানে দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক ক্লাসের সময়সীমা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, যা আমাদের মতো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত ক্লান্তিকর হয়ে উঠছে। দীর্ঘ সময় বসে থেকে পড়ালেখা করার ফলে আমাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে, শেখার আগ্রহ কমে যায় এবং মানসিক চাপ বাড়ে। অধিক সময় স্কুলে অবস্থানের কারণে বিকালে খেলাধুলা বা অন্যান্য সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ করার সময়ও আমরা হারিয়ে ফেলছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য বিশ্রাম, খেলাধুলা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ড খুবই জরুরি। অথচ বর্তমানে আমরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো, যেমন ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের সময় কম হলেও তাদের শিক্ষার মান অনেক উন্নত — যা আমাদের জন্য অনুসরণযোগ্য।
আমাদের প্রস্তাবনা হলো:
১. দৈনিক পাঠদানের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টা নির্ধারণ করা।
২. প্রতিটি বিষয়ের ক্লাস ৩০ মিনিট, আর প্রথম ক্লাসটি ৩৫ মিনিট করা।
৩. সপ্তাহে অন্তত একদিন সহ-পাঠ কার্যক্রম (যেমন: খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, গান, নাটক ইত্যাদি) আয়োজন করা।
এই ব্যবস্থাগুলো চালু হলে আমরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে পারব, পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক সময় পাব। এতে শুধু আমাদেরই নয়, শিক্ষক ও অভিভাবকরাও উপকৃত হবেন। উপরন্তু, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য খরচ কমে আসবে — যা জাতীয়ভাবে অর্থনৈতিকভাবে সহায়ক হবে।
অতএব, মহোদয়ের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠদানের সময়সীমা ৪ ঘণ্টার বেশি না রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের মানসিক-শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনার সদয় বিবেচনা ও মানবিক দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।