বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজন

- আপডেট সময় : ১০:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ১৫ই সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবস। এর উদ্দেশ্য হলো লিম্ফোমা বা লসিকাগ্রন্থির ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত শনাক্তকরণ ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরা। লিম্ফোমা হলো একটি হেমাটোলজিক্যাল (রক্তজনিত) ক্যান্সার, যা লসিকাতন্ত্রে আক্রমণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসায় আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ও তথ্যভিত্তিক জ্ঞান জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
বক্তারা বলেন, লিম্ফোমা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায়, তাহলে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর সফল চিকিৎসা সম্ভব। এজন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।
এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, আজ সোমবার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়।
দিনের কর্মসূচির শুরুতে সকাল ৮:১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। এই র্যালির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম। র্যালিটি সঞ্চালনা করেন হেমাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ আদনান হাসান মাসুদ। র্যালিতে অংশ নেন দেশের খ্যাতনামা হেমাটোলজিস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোগী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
র্যালি শেষে সকাল ৯:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোভিসি ,গবেষনা ও উন্নয়ন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনজন বিশিষ্ট বক্তা। এছাড়া সোসাইটির পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ আদনান হাসান মাসুদ এবং সভাপতি অধ্যাপক ডা. আমীন লুৎফুল কবীর। বৈজ্ঞানিক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ রফিকুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, “লিম্ফোমা সম্পর্কে সমাজে এখনও অনেক ভুল ধারণা বিদ্যমান। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে বর্তমানে অনেক উন্নত ও কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তাই এই রোগ শনাক্তের পর হতাশ না হয়ে, দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি।”
অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, শিক্ষার্থী এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী এই আয়োজনটি ছিল সচেতনতা বৃদ্ধির এক অনন্য উদ্যোগ।